কাপড় ওয়াশের পরে বেড়ে যাওয়াকেই কাপড়ের গ্রোথ বা গেইন বলে। গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে বায়ারকে ১০০% কোয়ালিটিফুল এবং ত্রুটিমমুক্ত প্রোডাক্ট বা গার্মেন্টস বা পোশাক দেওয়ার জন্য প্যাটার্ন তৈরির পূর্বেই ফ্যাব্রিক ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট কাপড় বা ফ্যাব্রিকের ১০০% শ্রিংকেজ এবং গ্রোথ টেস্ট বা গেইনের হার একসাথে পরিমাপ করে। ১০০% বলতে ফ্যাব্রিকের সমস্ত রোলের গ্রোথ বা গেইন টেস্ট করতে হবে। যদি ফ্যাব্রিকের গ্রোথ বা গেইন টেস্ট না করা হয় তবে যেসকল সমস্যা হবে তা হলোঃ
১। ওয়াশের পর পোশাক বেড়ে যাবে।
২। ওয়াশের পূর্বের পোশাকের সাথে ওয়াশের পরের পোশাকের মেজার্মেন্ট সামঞ্জস্য থাকবে।
৩। পোশাক বড় হয়ে যাবে।
৪। উক্ত পোশাক কমফোর্টেবল হবে না।
৫। বায়ার উক্ত পোশাক কখনোই নিবে না।
৬। অবশেষে সমস্ত শ্রম বৃথা যাবে এবং সমস্ত ক্ষতি কম্পানির বহন করতে হবে।
গার্মেন্টস ম্যানুফ্যকচারিং কম্পানিগুলোতে একে প্লাস শ্রিংকেজ বলে অবিহিত করাহয় যা একেবারেই ভুল। মূলত প্লাস শ্রিংকেজ বলতে ঐ শ্রিংকেজকেই বোঝায় যেই শ্রিংকেজ পূর্বনির্ধারিত শ্রিংকেজের চেয়ে বেশি। যেমনঃ ফ্যাব্রিকের শ্রিংকেজ যদি -২% হয় এবং পরবর্তিতে দেখাগেলো ওয়াশের পর পোশাক শ্রিংক করেছে -৫% তবে এখানে প্লাস শ্রিংকেজের পরিমাণ -৩%। আমি এখানে মাইনাস ব্যাবহার করেছি শুধু বোঝার জন্য। শ্রিংকেজ মানেই মাইনাস টেন্ডেন্সি। আর গ্রোথ মানেই প্লাস টেন্ডেন্সি।
No comments:
Post a Comment
Thank you for your valuable comment. Keep Commenting and Get Answers.